এ স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, অত্যাধুনিক পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিক স্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে রয়েছে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কাজেই সবার জন্য শিক্ষা অর্জন করা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকারকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ আজ উন্নত দেশ হিসেবে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে সংগতিপূর্ণ বিকাশের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ভাবি নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। একজন মানব সন্তানকে পরিশুদ্ধ হতে হয়, পরিপূর্ণ হতে হয় স্বীয় সাধনার। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাই হলো মূলমন্ত্র। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আচরণের কাঙ্খিত পরিবর্তন। আর লক্ষ্যে তাদেরকে সৃজনশীল, স্বাধীন, সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
এ জন্য প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষকমন্ডলী এবং উপযুক্ত শিক্ষাদান পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। আমি বিনয়ের সাথে দাবি করি, রিয়াজ উদ্দিন মুন্সীর হাট কেরামতিয়া (আর, এম, হাট কে, উচ্চ বিদ্যালয়) এই সব বিষয়ের সমন্বয় ঘটানো সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মজ্জাগত প্রতিভা সহজে বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, আনুষ্ঠানিক, খেলাধুলাসহ নানাবিধ শিক্ষা।
রিয়াজ উদ্দিন মুন্সীর হাট (আর, এম, হাট কে) কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ফেনী জেলার একটি সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাজী মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীর বদান্যতায় ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রচারক হযরত কেরামত আলী (রঃ) এর নামে নামকরণের মাধ্যমে আর, এম, হাট কে, উচ্চ বিদ্যালয় নামক ইতিহাসের যাত্রা শুরু হয়। ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার তৎকালীন প্রশাসুনিক কেন্দ্র মতিগঞ্জ ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি উপজেলার তৃতীয়তম প্রাচীন বিদ্যালয় হিসেবে বিগত ৮২ বছর ধরে সুনাম, সুখ্যাতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের রক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আর, এম, হাট কে, উচ্চ বিদ্যালয় নিজস্ব উৎকর্ষতা ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে মানুষ গড়ার বৃহৎ মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।